

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রিয় দেশবাসী, সহকর্মী, আমার নিজ দলের নেতা-কর্মী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীবৃন্দ,
আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম। আসসালামু আলাইকুম।
সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে জয়ী হতে হলে এবং সরকার গঠন করতে হলে কিছু বিষয় অবশ্যই এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। আমি সংক্ষেপে সেসব বিষয় তুলে ধরছি।
৫ আগস্টের পূর্বে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বি। দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করত, যদি এখনই ভোট হয় তবে বিএনপি সরকার গঠন করবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর পরিস্থিতি উল্টো হয়েছে—আজকে জনসমর্থন কমতে কমতে কোথায় নেমেছে তা বলা মুশকিল। আমার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, কিছু বিশেষ কারণে আজকে আমাদের দলের জনসমর্থন কমেছে।
মূল কারণগুলো হলো:
1. চাঁদাবাজি – বিএনপিকে যারা ভালোবাসে না, তথাকথিত হাইব্রিড নেতা এবং যাদের নিজস্ব কোনো পেশা নেই, তারা দলকে পুঁজি করে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।
2. কমিটি বাণিজ্য – অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য ও টাকা-ওয়ালা লোকদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে ত্যাগী ও যোগ্য নেতারা উপেক্ষিত হচ্ছেন।
3. খামখেয়ালী বক্তব্য – অনেক নেতা পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে কথা বলেন না, যার কারণে জনগণের আস্থা হারাচ্ছে দল।
4. অতিরিক্ত গ্রুপিং – নিজ গ্রুপ ভারী করার জন্য অন্য দলের লোকজনকে ভেতরে টানা হচ্ছে এবং দলের প্রকৃত কর্মীরা উপেক্ষিত হচ্ছেন।
5. জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে বিচ্যুতি – অনেক নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করতে পারছেন না।
6. শিক্ষিত লোকদের অবমূল্যায়ন – শিক্ষিত ও যোগ্য মানুষদের দূরে রাখায় অযোগ্য লোকদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
7. অশিক্ষিত নেতৃত্ব – যাদের দলের ইতিহাস বা রাজনৈতিক সচেতনতা নেই, তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়ায় কার্যক্রম দুর্বল হচ্ছে।
8. রাজাকার শব্দের অপপ্রয়োগ – আওয়ামী লীগ যেমন “রাজাকার” শব্দ ব্যবহার করে, বিএনপিও তা বারবার করছে। কিন্তু আজকের সচেতন জনগণ বুঝতে পারে—জনগণের কল্যাণে যে কাজ করবে, তারা তাকেই সমর্থন দেবে।
এভাবে আরও অনেক সমস্যা আছে, তবে দীর্ঘ করলে পাঠকের বিরক্তি আসবে। তাই সংক্ষেপে বললাম। পরিচয় পরিষ্কার হলে ভবিষ্যতে বিস্তারিতভাবে বড় আকারে লিখব, ইনশাল্লাহ।
শেষে আবারো সবাইকে সালাম জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।
মাসুদ
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জিয়া প্রজন্ম দল
কেন্দ্রীয় কমিটি